বিএনপি আর কখনো সমাবেশ করার অনুমতি নিবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এই সমাবেশ করতে আজ সকাল ১০টার সময় অনুমতি দিয়েছে আর বলেছে শুধু আজকের জন্য (অনুমতি)। কিন্তু এরপরে আর কখনো আমরা (বিএনপি) অনুমতি নিবো না। আমরা আমাদের যখন খুশি তখন সমাবেশ করব। এটা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী অধিকার। দল-মত নির্বিশেষে সামনের দিনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য, গণতন্ত্রের প্রতীক দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো। ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সব কিছুতেই ব্যর্থ। তারা সড়ক আইন করেছে অথচ রাস্তায় প্রতিদিনই মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুরা স্লোগান দেন অমুক দল জিন্দাবাদ, উত্তর আর দক্ষিণে স্লোগান না দিয়ে, এই সরকার নিপাত যাক, দেশনেত্রীর মুক্ত চাই স্লোগান দিতে হবে।’

সম্প্রতি ভারতে প্রথমবারের মতো পিংক বলে ডে-নাইট টেস্ট খেলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘণ্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে এই সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। একটু ধাক্কা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে বিচারক সাজা দিয়েছিলেন এবং তারেক রহমানকে যে বিচারক সাজা দিয়েছিলেন এই সরকার পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে হাইকোর্টে বিচারপতি বানিয়েছে। আর যে বিচারক তারেক রহমানকে অপর এক মামলায় নির্দোষ বলে খালাস দিয়েছিলেন সেই বিচারক জীবনের ভয়ে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজে বাঁচতে হয়েছে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিচারকরা মুক্ত মনে কাজ করতে পারেন না। সেই কারণে আজকে বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায়। এ কারণে প্রয়োজন আন্দোলন। এজন্য শুধু স্লোগান দিলে হবে না। আন্দোলন করতে কর্মসূচি দিতে হবে।’

বরিশালে বিএনপি নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে যারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, তাদের না ধরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে।’

বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অরও বক্তব্য দেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ নেতা মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, আমানুল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ।