অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার মামলার বাদী নুজহাতুল হাসানের নারাজি (অনাস্থা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন। মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই মামলার বাদী পুলিশি প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানান। এরপর বিচারক পরবর্তী আজ সোমবার দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় শমীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেন। এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের ‘চোর’ আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দু’টি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটো সাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ও শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।