পাঁচ শতাংশ পুলিশের অন্যায়, অপকর্ম ও দুর্নীতির জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে আদালত রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালত বলেন, এই পাঁচ শতাংশ পুলিশ ধরেই নিয়েছে, দুর্নীতি করলে তাদের কিছু হবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

উল্লেখ্য, ২৭ জুন রাতে মতিঝিল শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম খলিল তার এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে উত্তরার ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তাকে আটক করে পুলিশ উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। এসময় ইব্রাহিম আঘাত পান। পরে এএসআই মোস্তাফিজ ইব্রাহিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। ইব্রাহিম ৬ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান। তবে পরবর্তীতে তাকে বাকি ১৪ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য বলে ইব্রাহিম কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এর কিছুদিন পর পুলিশের ওই এএসআই ইব্রাহিমের নারী কলিগকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন এবং দেখা করলে অবশিষ্ট ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে না বলে জানান।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি কমিশনার ও পুলিশের আইজি বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন ইব্রাহিম। একইসঙ্গে নারী কলিগের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ডিং, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দাখিল করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫ জুলাই ইব্রাহিম হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত জড়িত পুলিশ সদ্যসের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেন।