মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বচ্ছল থাকাটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট জানান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তাদের জন্য করুণা নয়, এটা তাদের অধিকার। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে দায়ের করা এক রিটের রায় ঘোষণার সময় আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন। রায়ে ২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করে ভাতা প্রদানের নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক এনাম টিপু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’

অমিত দাস গুপ্ত জানান, রায় ঘোষণাকালে আদালত বলেন, যথাসম্ভব স্বশরীরে হাজির হয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে হবে। যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেট থেকে বাদ দিতে হয় তাহলে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, নোটিশ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনারও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে রিটকারী ২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে একটি তালিকা পাঠানো হয়। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বাতিল করা হয়। এরপর সে বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে একই বছর মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।