বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুয়েট প্রশাসনকে দেওয়া তিনটি দাবির দুটি পূরণ হওয়ায় সব ধরনের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদুর রহমান সায়েম।

সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান সায়েম বলেন, গত ৭ অক্টোবর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৮ অক্টোবর থেকে আবরার হত্যার বিচার এবং একইসঙ্গে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রথমে আট দফা এবং পরে সংশোধিত দশ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন শুরু করি।

এর মাঝে ১৫ অক্টোবর বুয়েট ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন ২ দিনের জন্য শিথিল করা হয় এবং আন্দোলনের নয় দিনের মাথায় ১৬ অক্টোবর গণশপথের মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে কোনো অপশক্তি যাতে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পারে এবং একইসঙ্গে বুয়েট প্রশাসন যাতে নির্বিঘেœ কাজ করতে পারে সেজন্যই মূলত মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন থেকে সরে আসা হয়।

তদন্তকারী সংস্থা অত্যন্ত নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে শুরু থেকেই সচেতন ছিলেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে আইন মন্ত্রী মামলার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার ব্যাপারে জানান।গত ২ নভেম্বর মিটিংয়ে বুয়েটকে দ্রুত সচল করার জন্য আমরা তিনটি দাবি জানায়। এর মধ্যে প্রথম দুটি মেনে নেওয়ায় আমরা ২৯ ডিসেম্বর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব।

আমরা চাই আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হোক। আমাদের মতো সারা দেশবাসী এই বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি আদালত বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সমগ্র দেশবাসীর আশা পূরণ করবেন।