মিয়ানমার সফরকে সামনে রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎ শেষে জেনারেল আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার সফরে দেশটির সেনা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিটারি টু মিলিটারি সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক যে অবস্থায় আছে সেটি আরও ভালো করার আলোচনা হবে। যতবেশি আলোচনা হবে ততবেশি সম্পর্ক ভালো হবে।

আগামী ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার সফরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন সেনাপ্রধান। ৯ ডিসেম্বর সেখানে পৌঁছে ১৩ ডিসেম্বর তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।তবে এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবে না ইঙ্গিত দিয়ে জেনারেল আজিজ বলেন, সফরে প্রসঙ্গেক্রমে রোহিঙ্গা নিয়ে কথা হবে, এটি নিয়ে কী কী সমস্যা হচ্ছে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে।

সফরের প্রেক্ষাপট কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো যাচ্ছি, আমরা তো অনেক দেশে যাই। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সফর। অনেক সময়ে আমরা বলি যে যেতে চাই আবার অনেক সময়ে অন্যরা বলে যাওয়ার জন্য। গত সপ্তাহে সৌদি চিফ অফ জেনারেল এসে ঘুরে গেলেন। দ্বিপক্ষীয় সফরগুলো হয় সম্পর্কোন্নয়নের জন্য। আমরা যে অবস্থায় আছি তার থেকে আরও ভালো করতে চাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।এদিকে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফরে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন তৈরি হবে।সেসময়ে তিনি বলেছিলেন, সেনাবাহিনী প্রধানের সফর আমাদের পক্ষে যাবে। কারণ, মিয়ানমার আমাদের শত্রু দেশ নয়, বন্ধু দেশ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটি (রোহিঙ্গা সমস্যা) সমাধান করতে চাই। আমরা বিভিন্ন কর্মপন্থা ও দূতিয়ালি করে যাচ্ছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ অবস্থায় আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান সে দেশে গেলে আমাদের জন্য মঙ্গল হবে। এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন চালু হবে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই।