একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশে ও বিদেশে একটাই স্লোগান ছিল জয় বাংলা।বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রিটে রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। ব্হৃস্পতিবার এ রুলের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার আদালতকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে একটাই স্লোগান ছিল জয় বাংলা।তখন আদালত বলেন, শুধু দেশেই না। একাত্তরে যখন মহান মুক্তিযুদ্ধ চলে তখন দেশে ও বিদেশে একটাই স্লোগান ছিল জয় বাংলা। এছাড়া পাকিস্তানেও কিছু কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে জয় বাংলা বলে স্লোগান দিয়েছে। এমনকি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে গুলি করার আগে মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা বলে স্লোগান দিয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার।গত ২ ডিসেম্বর (সোমবার) আদালত রুলের চুড়ান্ত শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন।

জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। ওই রিটের শুনানি শেষে জয় বাংলাকে কেন জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।আইনজীবী ড. বশির আহমেদ বলেন, জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, এটি আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক।