গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ পাঁচটি স্বর্ণের দোকানসহ ৮টি দোকানে ফিল্মী স্টাইলে লুটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পথচারী, নৈশ প্রহরী ও দোকান কর্মচারীদের একটি দোকানে বন্দি করে শতাধিক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে।

নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবলু রোজারিও এবং সন্দীপ জুয়েলার্সের মালিক সুকান্ত, মুরগী ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৩০-৪০ জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার পুলিশ ফাঁড়ির পাশর্^বর্তী উলুখোলা বাজারে হানা দেয়। তারা নিজেদেরকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রথমে বাজারে থাকা সাতজন নৈশপ্রহরীসহ পথচারী ও দোকান কর্মচারী ২৪/২৫জন লোককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কাপড়ের দোকানে নিয়ে বন্দী করে রাখে। পরে তারা বাজারের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে নিজেদের লোক দিয়ে পাহারা বসিয়ে দেয়। এরপর সজলের মালিকাধীন সোনালী জুয়েলার্স, নারায়নের রাজীব জুয়েলার্স, চঞ্চলের শিল্পী জুয়েলার্স, দীপঙ্করের রূপসী জুয়েলার্স এবং সুকান্তের সন্দীপ জুয়েলার্সের দোকানের শাটারে লাগানো তালা পর্যায়ক্রমে ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা ওই পাঁচ স্বর্ণের দোকানের সিন্দুক থেকে প্রায় ৮০ ভরি স্বর্ণালকার, শতাধিক ভরি রুপার তৈরী অলংকারসহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে। ডাকাতরা দিমা সরকার ফ্যাশন থেকে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জামা কাপড়ও লুট করে। এসময় তারা মুরগীর দু’ব্যবসায়ী ও এক চা’ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। পরে দোকানে বন্দি লোকদের ডাকচিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী গিয়ে দোকানের সাটার খুলে তাদের উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া লোকেরা জানান, ডাকাতরা নিজেদের পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের সাকিরের কাপড়ের দোকানে নিয়ে জড়ো করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে সাটারটি আটকে দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।