উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারণা প্রদানসহ সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের আওতায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আসার লক্ষ্যে চালু হলো সপ্তাহব্যাপী উগ্রবাদ প্রতিরোধে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের কমান্ডেন্ট মোঃ শাহাদাত হোসেন বিপিএম।

বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আর্ন্তজাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের প্রতিটি থানার অন্তত একজন সাব-ইন্সপেক্টর/তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে এই কর্মশালায়। এতে মোট ৬০০ জন সাব-ইন্সপেক্টর/তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এই কর্মশালার মাধ্যমে উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারনা প্রদান করা হবে। প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন। মোট ১২ টি ব্যাচে ৬০০ জন কর্মকর্তাকে এক সপ্তাহ করে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সিআইডি প্রধান বলেন, উগ্রবাদ প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি খুবই সময়োপযোগী। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ উগ্রবাদ বিষয়ে এখান থেকে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন, যা পরবর্তীতে স্ব-স্ব কর্মস্থলে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে উগ্রবাদ দমনে একটি ধারণা তৈরি হবে।

বিশেষ এই কর্মশালার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে জানা যায়, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা ও তা বাস্তবায়নে কঠোর নিদের্শনা প্রদান করেছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিছু মানুষকে সহিংস উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়ানো হয়ে থাকে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পারিপার্শ্বিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ধর্মীয় সঠিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে এসব বিপদগামী মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যাতে উগ্রবাদের জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সচেতনতা প্রক্রিয়া জোরদারসহ সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। যেহেতু পুলিশ অফিসারগন তাদের নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে সক্ষম এবং এ সংক্রান্তে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও বটে, সেহেতু এ সকল কর্মকর্তাকে উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারনা প্রদানসহ সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের আওতায় আনা এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।