খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারলো না রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলদের দেওয়া ১৯০ রানের টার্গেট ২ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিকুর রহীমের দল।রাজশাহীকে মূলত একাই হারিয়ে দিয়েছেন মুশফিক। ৫১ বলে ঝড়ো ৯৬ রানের ইনিংস খেলে খুলনাকে জয় এনে দেন বাংলাদেশ দলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। বিপিএল ইতিহাসে মুশির এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

শেষ ওভারেরে তৃতীয় বলে জয়ের জন্য খুলনার দরকার ছিল ২ রান। সেই সঙ্গে বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরির জন্য ৪ রান দরকার মুশফিকের। এমন মুহুর্তে রবি বোপারার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শোয়েব মালিকের হাতে বন্দী হোন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ৪ ছক্কায়। মুশফিক সাজঘরে ফিরলেও পরের বলে চার মেরে খুলনাকে জয় এনে দেন রবি ফ্রাইলিংক (১৪)। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠেছে মুশফিকের হাতে।এর আগে চলতি বিপিএলে চট্টগ্রামে পর্বের প্রথম ম্যাচে মালিকের ঝড়ো ৮৭ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯২ করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।

রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা টাইগার্স। রাসেলের করা ইনিংসের প্রথম বলে গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও (৭)। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা খুলনাকে উদ্ধার করে রিলে রুশো ও মুশফিকের ব্যাট। দুজনের ৭২ রানের জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৩৫ বলে ৪২ রান করে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হোন রুশো। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে জয়ের দিকে ছুটতে থাকেন মুশফিক। রাসেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে শামসুরের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। পরের সময়টা ফ্রাইলিংককে নিয়ে জয়ের কাছাকাছি এসে আউট হোন মুশি।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব আজ থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। যেখানে আসরটির নবম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও খুলনা। ম্যাচে খুলনার অধিনায়ক মুশফিক টসে জিতে সিদ্ধান্ত নেন ফিল্ডিংয়ের।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় রাজশাহী। দলীয় ৮ রানে মোহাম্মদ আমিরের বিদায় নেন আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই (১)। শুরুতে দুর্দান্ত ব্যাটিংযের আভাস দিলেও ব্যক্তিগত ১৯ রানের ফেরেন লিটন দাসও।
তবে আফিফ হোসেন ও মালিকের ব্যাটে ভর করে বিপর্যয় সামলে এগোতে থাকে রাজশাহী। সেট হয়ে দলীয় ৬৬ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ (১৯)। এরপর অবশ্য উল্টো খুলনার বোলারদের ওপর চওড়া হয় মালিক ও বোপারার ব্যাট। দুজনে গড়েন ১০৬ রানের জুটি।

দলীয় ১৭২ রানে আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৫০ বলে ৮৭ রান করেন মালিক। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ৪ ছক্কায়। মালিক ফিরলেও রানের গতি সচল রাখেন বোপারা ও রাসেল। ২৬ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন বোপারা। ৬ বল খেলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রান করেন রাসেল।