কক্সবাজারের কুখ্যাত ডাকাত আনোয়ার হোসেন (৪০) আরেক ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের কালিয়ারগোদা পাহাড় থেকে আনোয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় একটি দেশীয় বন্দুক ও তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি তিনবার পুলিশকে পিটিয়ে পালিয়ে যান। তিনি চকরিয়ার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের লাল মোহাম্মদ পাড়া ঘিলাতলীর বাসিন্দা।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাতে সুরাজপুর-মানিকপুরের কালিয়ারগোদা পাহাড় এলাকায় দুই ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পাই। আমি, পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমসহ থানার কয়েকদল পুলিশ অভিযানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় উপকুলের কুখ্যাত ডাকাত আনোয়ার হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হবে। একটি অস্ত্র আইনে, আরেকটি হত্যা মামলায়।’ গত ১৫ ডিসেম্বর  ‘আনোয়ার বাহিনীর কাছে জিম্মি কক্সবাজার উপকুলবাসী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের চারদিন পর তিনি নিহত হলেন।

উল্লেখ্য, কুখ্যাত ডাকাত আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক ডাকাত দল গড়ে উঠেছিল। এই বাহিনী প্রধান আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় ১৭টি। খুনসহ ডাকাতি, অস্ত্র আইন, পুলিশ এসাল্ট, ডাকাতির প্রস্তুতি, দস্যুতার ধারায় এসব মামলাগুলো হয়।

কক্সবাজার উপকূলে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তিন দফায় ঘেরাও করে। প্রতিবারই পুলিশকে পিটিয়ে পালিয়ে যান তিনি।