কুড়িগ্রামে টানা মৃদু শৈত্য প্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৪দিন ধরে প্রচন্ড শীত জেঁকে বসায় এ জেলার মানুষ রয়েছে অত্যন্ত কষ্টে। দিনভর সুর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিকেল পর্যন্ত রোদের মুখ দেখা মেলেনা সন্ধ্যের পর শুরু হয় টিপটিপ করে বৃষ্টির মত কুয়াশা। এ অবিরাাম মৃদু শৈত্য প্রবাহে ঠান্ডার প্রকোপ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

এদিকে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় কুড়িগ্রাম জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। এদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। গত তিনদিনে জেনারেল হাসপাতালে শিশু ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছে অর্ধশতাধিক। ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে ৮জন। কুড়িগ্রামের স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শেষ হয়ে গেলে হালকা দুই একদিন পর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

অন্যদিকে, কুড়িগ্রামে দলিত সম্প্রদায়ের মাঝে ৫০০ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ লাইন স্কুলে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।ঢাকা কলেজ ৯৬ব্যাচ এর সহায়তায় বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, প্রকৌশলী মোক্তাফি মাহমুদ শাহ. আবু জাহিদ সরকার, ঢাকা ব্যাংকের সোহেব আহমেদ পলাশ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাজমুল হক লেমন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য্য প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম পৌরসভায় হরিজন, বাঁশফোর, রবিদাস, নরসুন্দরসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ৫০০জন হতদরিদ্রদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।