ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র ডিএম সাব্বির হোসেন মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জনকে। মামলায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন। তিনি জানান, ডিএম সাব্বির হোসেন নামের ঢাবির এক ছাত্র গতকাল বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। নুরসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, ডাকসু ভবনে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার চেষ্টা ও মালামাল চুরিসহ একাধিক অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে ডাকসু ভিপি নুরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও প্রক্টর বরাবর এ নোটিশ পাঠান। আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশ গ্রহণের সাত দিনের মধ্যে ভিপি নুরুল হকের জীবনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এতে ব্যত্যয় হলে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নুরুল হক নুরের ওপর এ নিয়ে সাতবারের মতো হামলা চালানো হয়েছে। অতীতের এসব ঘটনায় তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। এর আগে গত রোববার ডাকসু ভিপি নুরুল হককে তার কক্ষে ঢুকে আলো নিভিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এই মঞ্চের অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে শাহবাগ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলায় (৩৪ নম্বর) আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।মামলাটির বাদী শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন। মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন তিন দিনের রিমান্ডে আছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অধিকাংশ পদে ছাত্রলীগ প্রার্থীরা জয়ী হলেও ভিপিসহ দুটা পদে জয়ী হন কোটা সংরক্ষণ আন্দোলনকারীদের প্যানেলের দুই প্রার্থী। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় হামলার মুখে পড়েন নুর।