মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ২০২০ সালে বর্তমান সরকার মুজিববর্ষ পালন করবে। এর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা আগামী মার্চের মধ্যে আইডি কার্ড পাবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে মনিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরীফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম নজরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, আজ স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে বিএনপি জিয়াউর রহমানের নাম বলতে চায়। দেশ স্বাধীনের সময় এ দেশের কেউ জিয়ার নাম শোনেননি। রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করতে তারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেন, যা বাহুল্য ছাড়া কিছুই না। যারা এতিমের টাকা চুরি করতে পিছপা হয়নি, তারা জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে চায়, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।

প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের সেই নিমগাছতলায় বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল নির্মাণের ঘোষণা দেন। যে নিমতলায় দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে যশোর থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে যুক্তফ্রন্টের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।