টাকার মান ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার বিনিময়মূল্য বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের বাজারে আগের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এতে টাকার ক্রয়ক্ষমতা আরও কমেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। এই শ্রেণির মানুষের আয় যতটা না বেড়েছে তার চেয়ে বেশি বেড়েছে পণ্যের দাম। অর্থাৎ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছর আগে যে পণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটি কিনতে লাগছে ১০৬ টাকা ৫ পয়সা। ক্রয়ক্ষমতার হিসাবে ১০০ টাকার মান নেমে এসেছে ৯৪ টাকায়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া তথ্যমতে, চাল ছাড়া অন্যসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সরু চালের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ আগে যে চাল কিনতে খরচ হতো ১০০ টাকা এখন খরচ হচ্ছে ৯০ টাকা ৫২ পয়সা। চালের হিসাবে ১০০ টাকার মান বেড়েছে। আরেক নিত্যপণ্য সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ১০০ টাকার মান কমে দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৫৯ পয়সায়।

আর দেশি মসুর ডালের কিনতে আগের ১০০ টাকার মান দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৪ টাকায়। আগের এক কেজি ডাল কিনতে খরচ হতো ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এখন সেটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ১২৫ টাকায়। অর্থাৎ ১০০ টাকার ডাল কিনতে এখন লাগছে ১২৫ টাকা। আলোচিত দেশি পেঁয়াজের দাম ২৫-৩৫ টাকা ছিল। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৯০-১০০ টাকা। দাম বেড়েছে ২১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সোনালী ব্যাংকের এক বছর মেয়াদি আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ। এখানে ১০০ টাকা জমা রাখলে বছর শেষে ১০৬ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু ৬ টাকার ওপর সরকার কর কাটবে ১০-১৫ শতাংশ। ব্যাংক সার্ভিস চার্জ কাটবে। আবার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ওপর। অর্থাৎ ১০০ টাকা জমা করলে প্রকৃত অর্থে তার চেয়ে কম ফেরত পাওয়া যাবে।