মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নির্দেশে’ চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। পেন্টাগন জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশে’ তাকে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, বিদেশে মার্কিন কর্মকর্তাদের রক্ষায় প্রেসিডেন্টের নির্দেশে কাসেম সোলাইমানি হত্যার মধ্য দিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী সিদ্ধান্তমূলক প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নিয়েছে।

তারা জানায়, ভবিষ্যৎ ইরানি হামলা ঠেকাতে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বিশ্বের যেখানেই আমাদের মানুষ রয়েছে তাদের রক্ষা ও আমাদের স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে।
প্রসঙ্গত, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ ইরাকি জনতা। পেন্টাগন বলছে, দূতাবাসে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন জেনারেল সোলাইমানি।

এর আগে খবরে বলা হয়, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন এক বিমান হামলায় জেনারেল সোলাইমানিসহ আটজন নিহত হয়েছে। এসময় ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী হাশদ আশ শাবি’র ডেপুটিও নিহত হয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই হামলাকে ‘চরম বিপজ্জনক এবং একটি বোকামিপূর্ণ উত্তেজনা তৈরি’ বলে বর্ণনা করেছেন। জেনারেল সোলেইমানি ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক ফিগার। তার নেতৃত্বে থাকা কুদস বাহিনী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীর কাছে রিপোর্ট দেয় এবং জেনারেল সোলাইমানিকে একজন জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়।

জেনারেল সোলাইমানি নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার একটি ছবি টুইট করেন। এদিকে ওই হামলার পর বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চার শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।