অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মাল্লাকুটার সৈকতে দাবানলের কারণে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির নৌবাহিনী। অস্ট্রেলিয়ান একজন এমপি ড্যারেন চেস্টার বলেছেন, এইচএমএএস চোলেস ও এমভি সাইকামোর নামের দুটি জাহাজে করে এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হবে। চেস্টার এটিকে একটি ‘নজিরবিহীন গণ পুনর্বাসন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, সেখানকার আকাশ ধোঁয়ায় ভরে আছে কিন্তু পরিস্থিতি ভালো।

আগুন শহরের দিকে ধেয়ে আসলে সোমবার রাতে সেখানকার প্রায় চার হাজার বাসিন্দা ও পর্যটক সমুদ্র সৈকতে আশ্রয় নেয়। গতরাতে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৬০ জনকে উদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী।
নৌবাহিনীর কমান্ডার স্কট হলিহান বলেছেন, শুক্রবার নৌবাহিনীর জাহাজে করে উদ্ধার হওয়ার আশা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৯৬৩ জন আবেদন করেছেন। আজ সকালেও আরও আবেদন পড়েছে বলে জানান নৌবাহিনীর এই কমান্ডার।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আটকে পড়া এসব ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ওয়েশপুল বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজ দুটির ১৬ ঘণ্টা সময় লাগবে বলেও খবরে বলা হয়েছে। দুটি জাহাজের মধ্যে বড়, এইচএমএএস চোলেসে ‘কয়েকশ বিছানা’ রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জাহাজটি আরও ট্রিপ দিতে পারবে। ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস মাল্লাকুটাসহ ছয়টি এলাকা ও রিসোর্টে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
তিনি বলেন, কিছু লোক চলে যেতে চাইবে, আবার কিছু লোক তাদের বাসস্থানে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এদিকে হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন অংশে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে রাজ্য দুটিতে দাবানল শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১২০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর কেবল এই সপ্তাহেই ২৮ জন লোক নিখোঁজ হয়েছে। অন্যদিকে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের কোবারগো শহরে গেলে, ক্ষুদ্ধ জনতার রোষে পড়তে হয় তাকে।
পরে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তিনি মানুষজনের ক্ষুদ্ধ বিষয়টি বোঝেন এবং তারা ‘খুব কষ্ট পেয়েছে’ এবং ‘খুব রাগান্তিত বোধ’ করছেন।