মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার বিনিময়ে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮ কোটি ডলার ঘোষণা করেছে ইরান। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসেও হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জেরে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য সানের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইরানের মাশহাদ শহরে সোলেইমানির জানাজায় জনতার ঢল নামে। এ সময় হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ ইরানি ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ সহ বিভিন্ন মার্কিন বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। যা প্রচার করা হয় সরকারি টেলিভিশনে। এ সময় সোলেইমানির শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা জনসমুদ্রের সামনে দেশটির শীর্ষ নেতারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যা করে তার মাথা এনে দিতে পারলে ৮০ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার দেওয়া হবে।

মাশহাদ শহরে জানাজা ও শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে দেশটির শীর্ষ নেতারা বলেন, ইরানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে। প্রত্যেকে যদি এক ডলার করে দেয় তাহলে ৮০ মিলিয়ন হবে। আর যে ব্যক্তি ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারবে তাকে ওই ৮০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশ দুটি পরস্পরের বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। আক্রান্ত হলে জবাব দিতে এসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে ঘোষণা দিয়ে রাখছেন দেশগুলোর নেতারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তেহরান আমেরিকানদের ওপর বা মার্কিন সম্পদের ওপর হামলা চালালে ইরানের ৫২টি লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত কঠিন হামলা চালাবে। অন্যদিকে ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংবলিত ৩৫টি স্থাপনায় আঘাত হানার হুমকি দিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। রোববার এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, তারা আর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির সীমা মেনে চলবে না। পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ, মজুদ, গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে আর কোনো সীমাবদ্ধতা তারা রাখবে না।