আকাশ মেঘলা থাকায় সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭। গত সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছিল। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা রাতের দিকে কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬, সিলেটে ১২ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৮, রংপুরে ১২ দশমিক ৫, খুলনায় ১৩ এবং বরিশালে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়লেও কোনও কোনও এলাকায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে কনকনে বাতাস বইছে।

আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের আকাশ মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামীকাল তাপমাত্রা বেড়ে পরিস্থিতি ভালো হবে। তবে আজ কিছু এলাকায় রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তিনি আরও জানান, ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা একই থাকবে আপাতত। তবে ঘন কুয়াশা থাকবে আগের মতোই।

জামালপুর : চলতি বছর জামালপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন জেলার মরিচ চাষিরা। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় মরে যাচ্ছে খেতের মরিচগাছ। মরিচগাছে মুকুল ঝরে পড়ছে এবং গাছও মরে যাচ্ছে। জেলার জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মরিচের চাষ হয়ে থাকে।

মেলান্দহ উপজেলার চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতের কারণে মরিচগাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঠান্ডা বাতাসে ঝরে পড়ছে মরিচের মুকুল। মাঠের সব মরিচগাছ মরে যাওয়ার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন চাষিরা। মধ্যেরচর এলাকার মরিচচাষি বারেক সেক, কাশেম মিয়া, আলাউদ্দিন, মুসলিম উদ্দিন ও আয়নাল হক বলেন, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় মরিচের সব ফুল ঝরে পড়ে গেছে। যেসব ফুল আছে, সেগুলোও পচে যাচ্ছে কুয়াশায়। মরিচচাষি লোকমান আলী বলেন, তিন বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছেন তিনি। এই শীতে হঠাত্ করেই তার মরিচগাছগুলো মরতে শুরু করে। এতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ক্ষতি হতে চলেছে।

এ ব্যাপারে জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এবার চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস কমতে শুরু করলে মরিচের ক্ষতি কম হবে। যদি শীতের তীব্রতা ও শৈত্যপ্রবাহ আরো বেড়ে যায়, তাহলে আরো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শীতের কারণে মরিচের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেননি।