গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার আশ্বাসে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। জানা যায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সভায় যোগদানের উদ্দেশে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু এর আগে সকালে ছাত্র সংসদ, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যার কথা তুলে ধরে সভা বয়কট করে।

এরপর জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা মাত্রই ছাত্র সংসদ ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবিতে ভ্রুক্ষেপ না করে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানান ডা. জাফরুল্লাহ চোধুরী। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ঘেরাও করেন এবং একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর কক্ষে তাকে আটকে রেখে তালাবদ্ধ করে দেন।

প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা। দুপুর সোয়া ২টায় আলোচনা শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ ছাত্র পরিষদের রনি আহমেদ প্রমুখ নিজেদের দাবি উপস্থাপন করেন।

ছাত্র সংসদের জিএস মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে দেশের মানুষ অনেক সম্মান করে, আপনি দয়া করে হিটলারের মতো আচরণ করবেন না। হিটলারকে সারা পৃথিবীর মানুষ ঘৃণা করে। এমন সময় যেন তৈরি না হয় যেন আপনাকেও আমাদের অসম্মান করতে হয়। তাই আপনি আমাদের সমস্যার সমাধান করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি উপস্থাপন শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। এতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি বক্তব্য সম্পন্ন না করে চলে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় তাকে অবরুদ্ধ করেন। এছাড়া তিনি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অনুমোদন, ছাত্র সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি ও বাজেট-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেননি। সামগ্রিক বিষয়ে সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পুনরায় আলোচনায় বসতে সম্মত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।