জাতির আজ চরম দুঃসময় চলছে। এতবড় দু:সময় ৭১ সালেও ছিলোনা। ৭১ এ জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে বহি:শত্রুর বিরুদ্ধে। কিন্তু আজকের শত্রু হচ্ছে ঘরের শত্রু। ঘরের মধ্যে থেকেই তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। জাতির মানুষগুলিকে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে তাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।।

১৫ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী কুমাড়পুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।দেশের অর্থনীতি আজ ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের কাউকেই আজ জবাবদিহী করতে হয়না। দেশে আজ ধানের দাম নেই অথচো চালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজ সহ নিত্য পণ্যের দাম। এতো দাম বেড়েছে কিন্তু আমার কৃষক আজ দাম পায়না। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী পায়না, ধ্বংস হয়ে পড়েছে খুলনা জুটমিল। আমাদের কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষরা যে অন্দকারে
ছিলো আজোও তারা সে অন্ধকারেই রয়ে গেছে।গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, ভোটের আগের রাতে তিন চারটি রাষ্ট্র যন্ত্রের বাহিনী দিয়ে তারা স্ত্রন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে জনগণ যেনো ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। ফলে সাধারন জনগণ ভোট দিতে যেতে পারেনি। কয়টা লোক ভোট দিয়েছে? তাহলে ভোটটা দিলো কে, ভূত?গণতন্ত্র ও বেগম জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা শুধু মুখেই গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে। আসলে তারা গণতন্ত্রের চর্চাই করেনা। আমরা দেশের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়। আজ খুনের আসামীদের জামিন দেওয়া হয় অথচো বেগম জিয়ার জামিন তারা দেয়না। বেগম জিয়া বের হলেই
তাদের এসব অন্যায় জনগণের সামনে তুলে ধরবে তাই। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নতুন আঙ্গিকে ছদ্মবেশী বাকশাল কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের নুন্যতম যেটুকু বাকী ছিলো গত এক বছরে তারা তা শেষ করে দিয়েছে। সংবিধানকে কেটে কেটে তারা তছনছ করে দিয়েছে।তিনি আরো বলেন, বিএনপির ৩৬ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ মামলা ও গুম করেছে পাঁচশোরও বেশি। তাদের মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা আজো পথ চেয়ে থাকে । বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তারা কেড়ে নিয়েছে। বিচারকেরা আজ তাদের কথায় ওঠে আর বসে। ৭১ এ সাধারন মানুষেরা যুদ্ধ করেছে কোন ব্যাক্তি বা দলকে সারাজীবন ক্ষমতায় বসে থাকার জন্যে নয়।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা আলমগীর বলেন, ৫২ ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের তরুন যুব সমাজের ভূমিকাটা ছিলো মুখ্য। আজ তাদের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও