প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলন ‘অপারেশন বিজয় গৌরব’ প্রত্যক্ষ করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন এই অনুশীলনের আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপে প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৬৬ পদাতিক ডিভিশন শীতকালীন এ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করে। ঘণ্টাব্যাপী অনুশীলনে তিন বাহিনীর সমন্বিত অভিযান প্রদর্শন করা হয়। এতে নৌ ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটও অংশ নেয়।

আধুনিক ট্যাংক, এপিসি, মিগ ফাইটার প্লেন, এমআই হেলিকপ্টার নিয়ে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা অনুশীলনে অংশ নেন। অনুশীলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও শত্রুবাহিনীর মধ্যে একটি ‘মক যুদ্ধ’ হয়। এতে সশস্ত্রবাহিনীর জয়ের মধ্য দিয়ে অনুশীলন শেষ হয়।

‘মক যুদ্ধে’ শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনীর বিজয়ের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন ২২২ পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊধ্বর্তন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

এর আগে স্বর্ণদ্বীপে পৌঁছালে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ৬৬ পদাতিক বিভাগের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার (জিওসি) মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, ৩৩ পদাতিক বিভাগের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী। পরে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফেটেন্যান্ট জেনারেল মো. শামসুল হক এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান স্বর্ণদ্বীপের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

৩৩ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা স্বর্ণদ্বীপের প্রশিক্ষণ এলাকার সুপরিকল্পিত ব্যবহারে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা তিনটি মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন প্রকল্প এবং এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।