ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের ডাকা ‘মিলিয়ন ম্যান মার্চ’ নামে এই বিক্ষোভে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছে ইরাকের জনগণ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত কয়েক দশকে এত বড় পরিসরে বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি। পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভে শুক্রবার দুপুরের আগে থেকেই বাগদাদের বিভিন্ন প্রান্তে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। রাজধানীর বাইরের অন্যান্য প্রদেশ থেকেও শিয়া, সুন্নি, কুর্দি ও আরবসহ বিভিন্ন গোত্র এবং সম্প্রদায়ের মানুষ স্বতস্ফ‚র্তভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দুপুরের দিকেই রাজধানী বাগদাদ পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বিক্ষোভকারীদের হাতে শোভা পায় আমেরিকা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার এবং ফেস্টুন। পাশাপাশি কন্ঠে গগনবিদারী স্লোগান, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘ইরাক থেকে বিদায় হও মার্কিন সেনারা’। ইরাকের রাজপথে সর্বশেষ ১৯২০ সালে ব্রিটিশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভে নেমেছিল দেশটির সাধারণ মানুষ। শুক্রবারের বিক্ষোভকে সেই বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশলী বিভিন্ন গণমাধ্যম। ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর এই মিলিয়ন ম্যান মার্চের ডাক দিয়েছিলেন শিয়া নেতা মুক্তাদা আর সদর।