নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র ছোঁড়া গুলিতে নিহত তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীর দুইজনের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। ঘটনার তিন দিন পর শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহত দুই গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা তিন গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার তিন দিন পর কামাল হোসেন ও রনজিতের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ। এ নিয়ে ঘটনার দিন বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুয়ারপাল সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত তিন জন হলেন- পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫), কাঁটাপুকুরের মৃত- জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২) এবং বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রনজিত কুমার (২৫)।

বিজিবি ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে মফিজুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও রনজিত কুমারসহ ১০-১২ জনের একটি দল পোরশা দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গরু নিতে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তিন গরু ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। গরু ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল। আর গরু ব্যবসায়ী রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল। পরে দুপুর দেড়টার দিকে লাশ দুটি বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে যায়।

১৬-বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মেজর আহসান হাবিব বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার তিন দিন পর বিএসএফরা নিহত দুইজন গরু ব্যবসায়ীর লাশ ফেরত দিয়েছে। লাশ নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে করিডোর বন্ধ রাখা হয়েছে।