গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার বিকেলে দু’বছরের শিশুপুত্রকে গলা কেটে হত্যার সময় তার বাবা রাজুকে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসি। এঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও গুরুতর আহত ওই শিশুকে আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি আটক রাজুকে (২৫) উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক রাজু জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার রামপুরা এলাকার মো. আবু হানিফার ছেলে।

শ্রীপুর থানার এসআই বেলাল হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের জনৈক মহর আলীর বাড়ীর ভাড়া বাসায় রাজু তার শিশুপুত্র, স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন। রাজু এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন এবং তার স্ত্রী কামরুন্নাহার স্থানীয় খানটেক্স নামের এক পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। গত কিছুদিন ধরে রাজু ও তার স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে রাজুর স্ত্রী তার কর্মস্থলে যায়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজুর দু’বছরের শিশু পুত্র কাওছার ইসলাম ঘরে একা খেলা করছিল এবং রাজুর শাশুড়ি ঘরের বাইরে কাজ করছিল। এসময় রাজু ঘরে ঢুকে কাওসারকে খাটের উপর শুইয়ে সুতা কাটার চাকু দিয়ে গলা কেটে তার শিশুপুত্রকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় আহত শিশুটির চিৎকারে তার নানী ঘরে ঢুকে কাওসারকে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজুকে চাকুসহ হাতে নাতে আটক করেন। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাওয়া গুরুতর আহত শিশু কাওসারকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেরা হাসাপাতালে নিয়ে যান তারা। পরে সেখান থেকে আশংকা জনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি আটক রাজুকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

শ্রীপুরের মাওনা এলাকার আলহেরা হাসপাতালের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম জানান, শ^াস নালীর কিছু অংশ কাটা অবস্থায় শিশু কাওসারকে এ হাসপাতালে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, ঘটনার পরপরই শিশুটির বাবা রাজুকে পুলিশ আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।