পুলিশের সামনে যুবককে মারধরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছে জেলা পুলিশ। বুধবার পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামীমা আখতার জানান, সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে এক যুবককে বাঁচাতে ব্যর্থ হওয়ায় ও দায়িত্বে অবহেলা এবং অদক্ষতার অভিযোগে খাইরুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যপারে জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা ও প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এখানে, প্রধানত দু’টি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। সেটি হলো এক. পুলিশ মামলার সাক্ষ্য দিতে আসা ব্যক্তিকে আসামী পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে কিনা। দুই. মামলার সাক্ষ্য দিতে আসা ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় পুলিশের গাফিলতি ছিল কিনা।

এখানে তদন্ত কমিটি সহযোগিতা করতে আসা আসা যুবককে আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়ার প্রমান পায়নি। তবে, আক্রান্তদের বাঁচাতে পদক্ষেপ না নেয়ায় পেশাদারী অদক্ষতা ও গাফিলতির বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ১৪ জানুয়ারী একটি ধর্ষণ মামলার তদন্তে সহযোগিতার জন্য আব্দুল আলীম নামের এক যুবককে শহরের গাছপাড়া এলাকায় ডেকে নেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম। কথা বলা শেষে মামলার আসামীপক্ষের অনুসারী সন্ত্রাসীরা যুবক আলীমের উপর আক্রমণ করে পিটিয়ে আহত করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্যোগ না নিয়ে খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে চলে যান বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ।

অপরদিকে, ঘটনার পর আহত যুবক আলীমের স্ত্রী বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আলাদা অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী আরিফ হোসেনসহ চারজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।