রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারে হেলমেট পরা অবস্থায় গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার আরিফুল ইসলাম বিএনপি সমর্থক বলে জানিয়েছেন ইশরাক নিজেই। তবে আরিফুল তার পিএস নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। গ্রেফতার আরিফুলের বাড়ি বরিশালে। ছাত্রদলের সাবেক নেতা আরিফুল বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাকের পিএস হিসেবে দায়িত্বরত বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, আমার কোন পিএস নেই। গ্রেফতার আরিফুল বিএনপি প্রার্থী ইশরাকের পিএস বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানোর পরই গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠান ইশরাক। বিজ্ঞপ্তিতে আরিফুলকে বিএনপি সমর্থক বলে দাবি করলেও তিনি নিজের পিএস নন বলে দাবি করেন ইশরাক।

গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়ারীর গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচন প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গুলির শব্দও শোনা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গ্রেফতার আরিফুলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে জানানো হয় আরিফুল বিএনপি কর্মী। সাবেক ছাত্রদলের এই নেতা ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার আরিফুলকে ইশারাকের পিএস বলা হলেও বিএনপি প্রার্থী ইশরাক তা অস্বীকার করেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সাদেক হোসেন খোকাপুত্র ইশরাক জানান, তার কোনো ব্যক্তিগত সহকারী বা একান্ত সচিব নেই। তবে গ্রেফতারকৃত এই ব্যক্তি বিএনপির সমর্থক বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

ইশরাকের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রাতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আরিফুল ইসলাম নামে একজনের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে তাকে ইশরাক হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গত রাতেই ইশরাক হোসেন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, তার কোনো ব্যক্তিগত সহকারী বা একান্ত সচিব নেই। তিনি দলের একজন সমর্থক মাত্র। সে হিসেবে নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি অন্যদের মতই স্ব উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী গণসংযোগ চালাতে গেলে ইশরাকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ– আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট থেকে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। এ ঘটনায় একজন গণমাধ্যমকর্মীসহ কয়েকজন আহত হন।