ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরপর নয়াপল্টনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়াপল্টনের সামনে অবস্থান করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর কাকরাইলের দিকে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষের অবস্থানের কারণে নয়াপল্টনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরপরই বিজয়নগর মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

দুই পক্ষে মাঝখানে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫টার ৪৫ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাকরাইল থেকে মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে যায়। তারা ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘তাপস ভাইয়ের সালাম নিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে লাঠিসোঠা নিয়ে বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রী অফিসের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে পুলিশ বাধা দিলেও তারা বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায়। পরে পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের ধাওয়া দিয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে পাঠিয়ে দেয়। মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) জামিল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দুই পক্ষের উত্তেজনায় পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে সড়িয়ে দিয়েছে। আপাতত আর কোনো উত্তেজনা নেই। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে পুলিশি ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। যেকোনও অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলা করতে আমরা সতর্ক রয়েছি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫টার ৪৫ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাকরাইল থেকে মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে যায়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রী অফিস অতিক্রম করার সময় সেখানে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

এরপর আওয়ামী লীগের লোকেরা ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘তাপস ভাইয়ের সালাম নিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে লাঠিসোঠা নিয়ে বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায়। এসময় তাদেরকে পুলিশ বাধা দিলেও তারা বিএনপি অফিসের দিকে ছুটে যায়। পরে পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের ধাওয়া দিয়ে বিজয় নগর মোড়ের দিকে পাঠিয়ে দেয়।