চিকিৎসকের চেম্বার থেকে রোগীরা বের হলেই তাদের থামিয়ে হাতে থাকা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। উদ্দেশ্য থাকে কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন চিকিৎসক এটা দেখার। রোগীরা মুমূর্ষ অবস্থা থাকলেও এ চিত্র বদলায় না। তবে এখন থেকে সরকারি হাসপাতালের সামনে বা গন্ডির ভেতরে প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এমন নির্দেশনা দিয়ে লিখিত আদেশ দিয়েছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান। ঢাকা জেলার আওতাধীন প্রত্যেকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোন অবস্থাতেই হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) চাইতে বা দেখতে এবং ছবি তুলতে পারবে না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ও রোববার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মেডিকেল রিপ্রেজেন্টটেটিভরা চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাত করতে পারবেন। এছাড়া অন্য কোনো দিন বা সময়ে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান কিংবা মোটরসাইকেলও রাখতে পারবেন না। লিখিত ওই চিঠিতে সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান উল্লেখ করেন, সাধারণ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন সিভিল সার্জনের এমন সিদ্ধান্ত ও চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।