খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে আটকে রেখে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে সেই নারীকে মারপিট করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়েছে।

প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, গেল বছরের দুই আগস্ট বেনাপোল-খুলনাগামী ট্রেনের ভেতর থেকে ওই নারীকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। ওই দিন রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার ওসি উছমান গনি পাঠানসহ ৫ জন পুলিশ গ্রেপ্তার আসামিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে মর্মে আসামি নিজে বাদী হয়ে আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ (১) ধারায় মামলা করেন। আদালতের আদেশে উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলা রুজু হয়। এরপর তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেল) ফিরোজ আহমেদ তদন্তকালে ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামি বাদী হয়ে উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। যা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় এবং পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১ নম্বর আসামি রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদীকে ধর্ষণ ও যৌন পীড়নের অভিযোগের সত্যতা পাননি।

এ বিষয়ে রেলওয়ে থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট (নম্বর-০১, তারিখ-০২/০২/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০) আদালতে দাখিল করেন। তবে তদন্তে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গণি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়। তবে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়।