চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার গমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে । মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে গমের শীষ। তাইতো কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর এখন এ এলাকার কৃষকরা। তাদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে না পড়লে উৎপাদিত গম তাদের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে আর্থিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। এ জেলায় এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা। স্বল্প সময় এবং লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন গম চাষীর তালিকা বেড়েই চলেছে। জেলার কৃষকদের কাছে গম একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে।এ মৌসুমে ২ লাখ ২৭ হাজার ২১৪ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি অধিদফতর। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর, রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ জুড়ে গমের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে ফসলী মাঠ ভরে গেছে সবুজ সমারোহে। তাই ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। তিনি এবছর ২৫ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন।হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের চন্দ্র মোহন বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয় । এবছর আমি দুই একর জমিতে চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে।বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, এক বিঘা মাটিতে গম চাষে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা মাটিতে কমপক্ষে ১১-১৪ মণ গম উৎপাদন হয়। গমের মূল্য প্রতিমণে ১ হাজার টাকা হলেই ভাল লাভ হবে কৃষকের।বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তপন মাহমুদ বলেন, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শষ্য) কৃষিবিদ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে শীত যত দীর্ঘ হবে সেখানে গমের আবাদ তত ভালো হবে। এ বছর শীত দীর্ঘ হওয়ায় এ জেলায় গমের বাম্পার ফলন আশা করছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আরো অনেক বেশি গম উৎপাদন হবে বলে আমি আশাবাদী।

গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি