ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। অপরিকল্পিত খননের মাটি ফেলে বন্ধ করে দিচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা। সে মোতাবেক সাধুহাটি কৃষি খামারে এর প্রভাব পড়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সাধুহাটি, মধুহাটি এবং সাগান্না ইউনিয়নের ফসলি জমিতে গত কয়েক মাসে প্রায় দেড় হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে পুকুর খননে হুতারা অধিকাংশ জমির মালিক নন। অপরিকল্পি খননের কারনে জলাবদ্ধতায় দরিদ্র কৃষক জমি কন্টাক্ট দিতে বাধ্য হচ্ছে। মাগুরাপাড়া, নাথকুন্ডু, নলবিল, ছাইভাঙ্গা, ভেদুড়ি, বঙ্কিরা, চোরকোল, জিয়ালা, চান্দুয়ালি, মামুনশিয়া, কালিপোতা, বৈডঙ্গা, শ্যমনগর গ্রামের মাঠে পুকুর খনন করা হয়েছে। অথচ পুকুর খননের আগে মাঠ গুলোতে আখ, পাট, ধান, ছোলা, মসুরসহ ধানের আবাদ হত। এখন জনদুর্ভোগ ও হুমকীর মুখে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এবিষয়ে মধুহাটি ইউনিয়ন সহকারি ভূমি করকর্মকতা মোখলেচুর রহমান বলেন, আমার এখানে মামুনশিয়া একটি ১০-১২ ফটের খালে মাটি ফেলে ভরাটের অভিযোগ ওঠে। পরে সার্ভেয়ার নিয়ে খালের সিমানা করা হয়েছে। তবে আগে থেকে ভরাট করা হয়েছে। খনন করা দরকার খালটি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এই খালটি দিয়ে হাবোরকুড়, জুলারকুড়, প্রয়াতপুর, জুংড়িতলাসহ অত্র এলাকার কয়েটি বিলের পানি বর্ষা মৌসুমে বিল ভেদুড়িয়া হয়ে চিত্র নদিতে পড়ে। কিন্তু বিশেষ কওে দুই জন প্রভাবশালি একজন পুকুর খননে কন্টাক্ট দেয়ায় এবং অপরজন যাতাযাতের জন্য সম্প্রতি মাটি ভরাট একেবারেই সংকীর্ণ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, আমরা সফলি জমি রক্ষার জন্য কৃষকদের সাথে কথা বলছি। তাদেরকে ভাল ও ক্ষতির দিক বোঝানো হচ্ছে। বিষটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা খান মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ অফিসে এসে বিষয়টি জানার জন্য সাংবাদিকদের উপদেশ দিয়েছেন। ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও অপরিকল্পিত খননের মাটি ফেলে পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা বন্ধ কারার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।