আবারও উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভারতের দিল্লি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি লোক। আজ মঙ্গলবার সকালেও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে জাফরাবাদ, মৌজপুর, বাবরপুর ও গোকুলপুরি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ১০টি অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত বছর দেশটির পার্লামেন্টে নতুন এই আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী নয়াদিল্লিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংঘাত-সংঘর্ষে দিল্লিতে এক পুলিশ সদস্য ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মাঝে যানবাহন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারার মঙ্গলবার সকালেও জাফরাবাদ এবং চাঁদবাগ এলাকার রাস্তায় ইট-পাথর ও পোড়া যানবাহন পড়ে থাকতে দেখেছেন। অনেকেই বলছেন, এসব এলাকাকে রণক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছে। সহিংসতায় বিধ্বস্ত এসব এলাকায় পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইডি কার্ড দেখে শরীর তল্লাশি করে শহরে লোকজনকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ। দিল্লির কিছু মেট্রো স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।