চারদিন পর দিল্লির সহিংসতা নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনদের দিল্লিতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।’ প্রতিহিংসা বন্ধে তিনি এ আবেদন জানিয়ে আরও বলেন, আমার দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। আশা করি সবাই শান্তি বজায় রাখবেন। দিল্লির সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত শতাধিক। আগামী এক মাস সংঘর্ষ এলাকায় কার্ফু জারি থাকবে।

মঙ্গলবার রাতে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উত্তরপূর্ব দিল্লির ডিসিপি’র সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তামিলনাড়ু সফর বাতিল করে দফায় দফায় বৈঠক সারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পরিস্থিতির মধ্যে এদিন সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকে অজিত ডোভাল পরিস্থিতি পর্যালোচনার সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।

গত রবিবার থেকে নাগরিকত্ব আইন দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দিল্লি। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ২৭ জনের। গুলিবিদ্ধ কিংবা পাথরের ঘায়ে আহত প্রায় শতাধিক। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের জেরে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে সিবিএসই। বুধবার বন্ধ এলাকার প্রায় সব সরাকারি স্কুল। রায়ট গিয়ারে ফ্ল্যাগমার্চ দিচ্ছেন আধা-সেনার জওয়ান ও দিল্লি পুলিশ। দেখলেই গুলি অর্থাৎ শুট অ্যাট সাইটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এমন ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট।