বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হচ্ছে আজ। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে পর্দা নামছে এবারের আসরের। রোববার থেকে আলো জ্বলে উঠবে না সোহরাওয়ার্দী ময়দানে কিংবা বাংলা একাডেমির চত্বরজুড়ে সারি সারি বইয়ের কুটিরে। বিদায়-বিরহের সুর প্রাণের মেলা গ্রন্থমেলায়। আবারো এগারো মাস পর কোলাহল ও উৎসবমুখর পরিবেশে দেখা যাবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। শ্রেণি-পেশা-বয়স নির্বিশেষে সবার মিলনমেলা ঘটবে। সমাপনীর দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দিনভর থাকছে নানা আয়োজন। সমাপনীর দিনে সকাল ১১টায় শেষ গ্রন্থমেলা দুয়ার খুলেছে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সন্ধ্যায় মেলামঞ্চের আয়োজনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মূলমঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। গ্রন্থমেলার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০’-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী ও সাগুফতা শারমীন তানিয়াকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২০, ২০১৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২০, ২০১৯ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২০ এবং ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০২০ প্রদান করা হবে।