চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের একটি হোটেলের ভবন ধসে অন্তত ৭০ জন চীনা নাগরিক আটকা পড়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাদের ওই ভবনটিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।
শনিবার (৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে প্রদেশের কুয়ানজু শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, আজ সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে ৭০ জনের মতো চীনা নাগরিক ছিলেন। এদের মধ্যে রাত ১০টা নাগাদ ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত হোটেলের ঠিক উল্টো দিকে বসবাসরত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘আমি রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি উচ্চ শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম এটি একটি বিস্ফোরণ। তবে বারান্দায় যাওয়ার আগে দেখলাম যে পুরো হোটেল ভবনটি ভেঙে পড়েছে।’

অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জোর উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে ১৪৭ জনেরও বেশি দমকলকর্মী এবং ২৬ জরুরী কর্মী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। আর দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি হুয়াং মিং উদ্ধার মিশনের তদারকি করছেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, বেইজিং নিউজকে একাধিক স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই হোটেলকে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তবে, তারা ভবন ধসের সময়ে সেখানে থাকা মানুষের সঠিক সংখ্যা বলতে পারেনি। এই হোটেলটিতে ৮০টি অতিথি কক্ষ ছিল। আর এটি ২০১৮ সালে জুন মাসে উদ্বোধন করা হয়।
অন্যদিকে, পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ঘনিষ্ঠভাবে দেখভালের জন্য হোটেলটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়।