বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেছেন, আপনারা যে সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন, আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে আমি বলতে চাই এই সংবর্ধনা পাওয়ার যোগ্য আমি নই, আপনাদের কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য নির্বাচন করেছেন। আমি মনে করি এটা আমার জীবনের বিরাট পাওয়া। গত বুধবার বিকেলে মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ২০০৯ সালে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পাপ মুক্ত হয়েছে। দেশে শান্তি বর্ষিত হয়েছে। আপনারা জানেন ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করার জন্য বিএনপি ও জামাত সারা বাংলাদেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ঐ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এদেরকে রক্ষা করতে হবে।

শাজাহান খান এমপি আরও বলেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের যে কমিটি হয়েছিল, সেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন আমার বাবা আছমত আলী খান। আমার মা তাজননেছা তিনি মহিলা লীগের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমার চাচাতো ভাই এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান খান তিনি সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমার চাচাতো ভগ্নিপতি এ্যাডভোকেট আদেলউদ্দিন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। যারা হাওয়া ভবনের সাথে ব্যবসা করলেন, মুসলিম লীগের দালালি করলেন তাদের কাছ থেকে আমার আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেট নিতে হবে? আপনাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেট নিতে হবে? আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

৪নং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান খান, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আবুল বাশার, শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ফেরদাউস বর্ষণ জমাদ্দার, এজাজুর রহমান আকন, খন্দকার খায়রুল হাসান নিটুল, কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান খানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এইচ এম মাসুম।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।