অস্ত্রের পর মাদক আইনের মামলায়ও জি কে শামীমের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার দুপুরে বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রাণোদিত হয়ে মাদক মামলায় শামীমের জামিন বাতিলের আদেশ দেন। এর আগে দুপুরেই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আসাদুজ্জামান ও মো. মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অস্ত্র মামলায় শামীমের জামিন বাতিল করেন।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মাদক মামলায় শামীমের ৬ মাসের জামিন দেন। এর পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি এ দুটি মামলায় তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। জি কে শামীমের জামিনের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। এই দুই মামলায় জামিননামা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
একমাস আগে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ থেকে জামিন হলেও রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। অথচ, রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থিতি ছাড়া কখনই আদালতে মামলার শুনানি হয় না।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের ১১৩ নম্বর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জিকে শাশীমকে। এরপর নিকেতনে তার জি কে বিল্ডার্স অফিসে (১৪৪ নম্বর) অভিযান চালিয়ে ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজ ও নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এছাড়া তার জিম্মা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেহরক্ষীদের ৭টি শটগান-গুলি এবং কয়েক বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।