বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গেল দু’সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ এলাকায় ফিরেছেন প্রায় ৯ হাজার প্রবাসী। তাদের সবাই করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে এ তথ্য জানিয়ে বুধবার একটি মেইল পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়।  এদিকে পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১লা মার্চ থেকে বিভিন্ন সময় বিমানযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ৮ হাজার ৭৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন। ইতোমধ্যে তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে পাঠানো এক মেইলে জানানো হয়েছে।
তারা সবাই করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই মেইলে আরও বলা হয়, আগমনের তারিখ থেকে ১৪ দিন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত যাত্রীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে আসবে তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশকে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন কন্ট্রোল অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টিন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণ করতে বলা হয়।  পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের কাছে তারা এ চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সব থানার ওসিকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রবাসীদের অবস্থা পর্যবেক্ষন করবেন।
এদিকে ১৪ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন মো. শাহআলম। তাদের মধ্যে ১২ জনই ইতালি থেকে এসেছেন। আর দুজনের একজন সৌদি ও ক্রোশিয়া থেকে এসেছেন।
অন্যদিকে হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকায় বাঞ্ছারামপুরে ওমান ফেরত এক প্রবাসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন সারোয়ার জানান, মনির হোসেন ৮ দিন আগে দেশে আসেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সরকারি নির্দেশনা না মানায় এবং এ ব্যাপারে সবাই যাতে সচেতন হয় সে কারণে তাকে এই জরিমানা করা হয়েছে।