দেশে খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, করোনাভাইরাসের কারণে খাদ্য সংকট হবে না জানিয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি কমপক্ষে এক বছর বিদেশ থেকে আমদানির সামর্থ্যও রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে রিজার্ভ আছে, তাতে অন্তত এক বছরের খাবার ক্রয় করার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। কাজেই সেদিক থেকেও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

আজ শনিবার সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে নিজের ভোট প্রদান শেষে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে, তারা খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করছে এবং তাদের বাড়িতে মজুদ করছে, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, খাদ্য সামগ্রীতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘দেখতে পাচ্ছি কিছু লোক সমানে জিনিসপত্র কিনে মজুদ করছেন বা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। একজন দেখলাম ৩০ কেজি লবণই কিনে ফেলেছেন! এই ৩০ কেজি লবণ দিয়ে উনি কতদিন খাবেন, আমি জানি না। আর সেটা দিয়ে উনি কী করবেন?’

সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজের একবার দাম বাড়ার কারণে অনেকে প্রচুর পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। ফলাফল এই হয়েছিল সেগুলো পচে যাওয়াতে ফেলে দিতে হয়েছিল।’

‘কাজেই আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে যার যতটুকু প্রয়োজন, সেইটুকু আপনারা সংগ্রহ করেন’ আরও যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এইভাবে যদি বাজারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, বাজার তখন জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার টাকা আছে সে তো কিনতে পারছে, কিন্তু যারা সীমিত আয়ের, তাদের পক্ষে তো এত কেনা সম্ভব না। কাজেই অন্যকে এভাবে কষ্ট দেওয়ার অধিকার কারও নাই।’

খাদ্যপণ্য মজুদের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শুধু সরকারি গুদামেই আছে। সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন গম আমাদের মজুদ আছে। এছাড়াও বেসরকারি আমাদের যে সমস্ত রাইস মিলগুলো আছে, তাদের কাছেও প্রচুর খাদ্য মজুদ আছে। তাছাড়া আমাদের ক্ষেতের ফসল আছে।’