করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় বিদেশ ফেরত ৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ও একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে জেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিদেশ ফিরত হোম কোয়ারেন্টাইনে ৭৪ জনের মধ্যে হলো, জেলা সদর উপজেলায় ১০জন, আদিতমারী উপজেলায় ৪জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১ জন, পাটগ্রাম উপজেলায় ১৫ জন এবং ভারত থেকে ফিরে আসা এক জনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানায়, লালমনিরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরতের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় সরকারি কলেজের অব্যবহৃত নতুন ভবনে ৬৪টি বেডের আইসোলেশন কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেই সাথে প্রত্যেক উপজেলা নতুন করে আইসোলেশন কেন্দ্র তৈরি করা হবে।

এদিকে করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে জেলার বিভিন্ন শহর ও হাট বাজার গুলোতে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৭ দিনের ব্যবধানে সকল প্রকার চালের দাম খুচরা বাজারে কেজিতে ৮টাকা হতে ১০ টাকা বেড়েছে। একেক বাজারের একই চালের দাম ভিন্ন দরে কেজি প্রতি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

জেলার হাতীবান্ধাহাটে চালের খুচরা বিক্রেতারা ৭দিন আগে স্বর্ণা চাল প্রতিকেজি বিক্রি করেছে ৩০ টাকা বর্তমানে বিক্রি করছে ৩৮ টাকা, আটাইশ চাল পূর্বের বাজার ছিল ৩৪ টাকা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, পায়জন চাল পূর্বে ছিল ৩৪ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বেশি দামে মহাজনদের কাছ থেকে চাল কিনছে। স্থানীয় বাজারের কেজিতে খুচরা মূল্যে কেনা থেকে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। চালের মহাজনদের দাবি তারা চাউলের মোকাম হতে বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। তারপর সামান্য লাভে তারা খুচরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করছে।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৭টি সরকারি গোডাউনে প্রায় ১৪ হাজার ২০ মেঃটন চাল মজুদ রয়েছে। ধান মজুদ রয়েছে ৩ হাজর ৪৫৬ মেঃটন। এই ধান সরকারি ভাবে ভাঙ্গানোর জন্য মিলভাড়া করা হয়েছে। এ থেকে প্রায় ২ হাজার ২৯৬ মেঃটন চাল পাওয়া যাবে। জেলায় এই মূহুর্তে চালের কোন সংকট নেই।

এ ব্যাপারে কথা হলে জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, চালের সংকট এ জেলায় নেই। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে সাধারন মানুষ হয়রানি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রনে র্ট্রাস্ট ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিনই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।