প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খালেদার মুক্তির প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইনমন্ত্রী পরামর্শ করেছেন। আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তারপর প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

এর আগে আজ বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদার দণ্ড স্থগিতের কথা জানান। আইনমন্ত্রী জানান, মানবিক কারণ ও বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি তার ঢাকার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।