পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত্র সন্দেহে তাকে কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঐ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া চিকিৎসক নার্সসহ আরো ৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার সকালে পাবনার সিভিল সার্জন বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাফিকুল হাসান জানান, জ্বর, কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে পাবনা পৌর বালিয়াহালট এলাকার ২২ বছরের ঐ যুবক বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক পরিক্ষা ও রোগীর উপসর্গসহ এক্সরেতে কিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় তাকে চিকিৎসকরা জুরুরী ভিত্তিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।

পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানান, ঐ রোগীকে আমরা শুধুমাত্র সন্দেহ করছি। সে বিদেশ ফেরত নয় এমনকি বিদেশ প্রত্যাগত কারো সংস্পর্শে তার আসার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। প্রাথমিক লকক্ষনগুলো দেখে সন্দেহজনক হিসাবে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকাসহ হাসপাতালের যেসকল চিকিৎসক ও নার্স ওই রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন তাদেরকেও দ্রুত হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আর ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, করোনা মোকাবেলায় পাবনা জেলায় জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মাঠে নেমেছেন তারা। শহরের সব বড় বড় বিপনী বিতান বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে দফায় দফায় শহরের বিভিন্ন মোড়ে জনগণকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানায় প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। দুপুরে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম মাঠে নেমে শহরের বিভিন্ন বাজার, টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খোলা রাখা দোকান পাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। এসময় পরিস্থিতি বিবেচনায় বাইরে অকারণে ঘোরাঘুরি না করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন তারা।