পাবনার বেড়ায় শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে এসে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এক জামাই আইসোলেশনে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার দুপুরে জেলা পরিষদের বেড়ার কাশিনাথপুরস্থ ডাকবাংলো আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয় ওই যুবককে। একই সাথে তার শ্বশুড়ালয়ের শিশুসহ ১৬ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই তরুণ জামাইয়ের তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। পেশায় সে ট্রেনে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানান, গেল ২৫ মার্চ ওই তরুণ শরীরে জ্বর, গলাব্যাথা নিয়ে বেড়ায় শ্বশুড় বাড়িতে আসে। শ্বশুড় বাড়ির লোকজন দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন।
এদিকে ওই তরুণের অসুস্থ্যতার খবর স্থানীয় চেয়ারম্যান অবহিত হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিলন মাহমুদ ঘটনাস্থলে যান। ওই তরুণের সাথে কথা বলে সবকিছু বিবেচনায় এনে ওই তরুণকে তারা আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

শুক্রবার দুপুরে ওই তরুণকে কাশিনাথপুরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে রাখা হয়। সেখানে তাকে তিন বেলা খাবার পরিবেশন করা হবে। পাশাপাশি দিনে চার বার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন চিকিৎসক। ওই তরুণের শ্বশুড়ালয়ে শিশুসহ ১৬ জন সদস্য রয়েছে। প্রত্যেককে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর। একই সাথে তাদের ১০ কেজি চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
জাতসাখিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি। উপজেলা প্রশাসন ওই তরুণকে আইসোলেশনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ওই তরুণের শরীরে জ্বর ও গলা ব্যথা রয়েছে। তবে আগে থেকে তার টনসিলের সমস্যা ছিল। টনসিল জনিত কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। তিনি বলেন, তবুও তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। একই সাথে তার শ্বশুড়ালয়ের আরও ১৬ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে দেয়া হয়েছে। শ্বশুড়বাড়ির লোকজন দরিদ্র হওয়ায় তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই তরুণের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকাতেও পাঠানো হবে।