গাজীপুরে শনিবার দুপুরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত দু’টি অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই ওই দু’অটোরিক্সার আরোহী ছিলেন। পুলিশ মাইক্রোবাসের চালককে আটক করেছে।

নিহতের নাম আফতাব উদ্দিন রাজ (৬৫)। তিনি নারানগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কটিয়াদি গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিন রাজের ছেলে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার এসআই আব্দুল জলিল ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে সিএনজি চালিত দু’টি অটোরিক্সা যাত্রী নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা খেকে কোনাবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কড্ডা বাইমাইল ব্রিজের উপর পৌছলে বিপরীতদিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিক্সাগুলোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিক্সাগুলো দুমড়ে মুচড়ে উল্টে যায় এবং আরোহীরা আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহত আফতাব উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে সেখান থেকে গুরুতর আহত গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে জসীম উদ্দিন (৪০) ও ঢাকা মগবাজারের মোতালিব শেখের ছেলে মিন্টুকে (৪৬) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত অপর ৬জনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন- গাজীপুর মহানগরের চান্দনা এলাকার রিপন (৩০) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫), শ্রীপুরের আব্দুল হামিদ (৩২), তার স্ত্রী মাসুদা (৩০) ও মেয়ে শ্রাবনী (১০) এবং ঢাকার গাউছিয়া এলাকার সাইদুর রহমান (৩৫)।

কোনাবাড়ি থানার ওসি মোঃ এমদাদ হোসেন জানান, পুলিশ মাইক্রোবাসের চালককে আটক করেছে। তার নাম কাজল (৪৫)। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার কাজাহাজি এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের ছেলে নুরুল ইসলাম জানান, সাভারের নরসিংহপুর এলাকায় আফতাব উদ্দিনের মুদি দোকান রয়েছে। করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি গত ২৫ মার্চ দোকান বন্ধ রেখে গ্রামের বাড়িতে যান। শনিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে নরসিংপুরের দোকানে যাওয়ার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে।