করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। কিন্তু তারপরও দেশের প্রতিটি পরিবারকে বার্তা পাঠাচ্ছেন তিনি। করোনাভাইরাস সংকট ‘ভালো হওয়ার আগেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে’ বলেও সতর্ক করেছেন সবাইকে।

যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোতে পাঠানো চিঠিতে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনে কঠোর বাধানিষেধ আরোপ করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন বরিস। তিনি বলেন, ‘নাগরিকদেরকে বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যের বিষয়ে সরকারি নিয়মকানুনের বিস্তারিত জানাতে লিফলেটও দেওয়া হবে।’

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি পরামর্শের স্পষ্টতা নিয়ে সমালোচনার পর ৫৮ লাখ পাউন্ড খরচ করে বরিস সরকার যুক্তরাজ্যের তিন কোটি পরিবারকে চিঠি পাঠানোর এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

কী লিখেছেন বরিস জনসন :

প্রিয়জনেরা

শুরু থেকেই আমরা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসকদের পরামর্শে আমাদের কিছু করতে বলা হলে, আমরা তা অবশ্যই করব। আমরা জানি পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে আরও খারাপের দিকে যাবে। তবে আমরা সঠিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সবাই নিয়ম যত বেশি মেনে চলব, তত কম জীবন হারাব এবং ততো তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে পারবে।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহেই দুইজনের বেশি মানুষের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা, দোকানপাট বন্ধ রাখা এবং অপরিহার্য নয় এমন সব জিনিসের বিক্রি বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং দৈনন্দিন জীবনে আরোপিত এইসব বাধানিষেধের প্রভাব পড়ার আগেই আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিশ্ব মহামারী দেশের ‘জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি’। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষাসহ জীবন বাঁচাতে সবাইকে সরকারি নির্দেশ মেনে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছি।

এদিকে আজ রোববার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ২২৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৫২২, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ১৩৫ জন।