সারাবিশ্বে মিনিটে মিনিটে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। ৩৩ হাজার পেরিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনার কোপে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৫২৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮৩,৬৯৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১,৪৬,৩৯৭ জন।  করোনার উৎস দেশ চীন হলেও এই ভাইরাস মহামারীর মতো প্রভাব ফেলেছে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে। ক্রমাগতই সেসব দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। করোনার কোপে ক্রমশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশটি। মারা গেছেন ১০,০২৩ জন। চীনের মৃত্যু সংখ্যা থেকে ইতালির মৃত্যু সংখ্যা তিনগুণের থেকেও বেশি। আর ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯২,৪৭২।

এরপরেই রয়েছে স্পেন। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮,৭৯৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৫২৮ জনের। স্পেনের মৃত্যু সংখ্যাও চীনের দ্বিগুণের তুলনায় বেশি।প্রসঙ্গত, চীনে নোভেল করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৪৩৯। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৩০০ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বে করোনার সংক্রমণে যত মৃত্যু হয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশ হয়েছে ইউরোপে।

চীনের উহান শহরেই প্রথম থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। পরবর্তীকালে চীন করোনার প্রকোপকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করে। তবে সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে থাকে ইতালি-স্পেন-ফ্রান্স-জার্মানিসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশে।

ক্রমশই এইসব ইউরোপীয় দেশের পথে এগোচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বলছে হু হু করে সংক্রকণ ছড়াচ্ছে মার্কিন মুলুকে। সবচেয়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে।

এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৩,৮২৮, আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে বেশি। তবে মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে কম, ২২৩১ জন। কিন্তু ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা যেটা যথেষ্টই উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৪৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন। আর এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন পাঁচজন।