করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বেড়েছে জনগণের ভিড়। ফলে আতংকে আছে সাধারণ জনগন। জনসচেতনতার সৃষ্টির লক্ষে সস্ত্রীক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেখা গেলেও চোখে পড়েনা রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত চাকরিজীবী, কর্মজীবিরা হাতীবান্ধা উপজেলার তাদের নিজনিজ বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশে করছেন অবাধে বাহিরে চলাফেরা। কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে ১৪দিন ঘরে থাকার সরকারি ও রোগতত্ত্ব বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা মানতে চাচ্ছেনা অনেকেই। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ বিস্তারের আশংকায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু জনসার্থে করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে প্রচারণায় রাজনৈতিক ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিদেরকে তেমন দেখা যায়নি।
ফলে করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে সস্ত্রীক হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিন গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তার স্ত্রী (সহকারী কমিশনার (ভূূমি)) শামিমা সুলতানা, সেনাাবাহিনী, পুলিশ, আনছারসহ করোনা ভাইরাস (CoVID 19) সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় ও জনসমাগম রোধ নিশ্চিতকরণে বড়খাতা, দইখাওয়া, মিলনবাজার, ডাকালীবান্ধা, কেতকিবাড়ি, শিমুলতলা, ঘুন্টি বাজার ও পারুলিয়াহাটে অভিযান পরিচালনা করছেন। তিনি নিজ হাতে মাইক দিয়ে “ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন এবং দেশকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করুন” প্রচারনা করছেন। তার নেতৃত্বে উপজেলা চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মাইকে প্রচারের ব্যবস্থা ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তার এই নিরলস প্রচারণায় খুশি হয়েছেন উপজেলা সর্বস্তরের জনগন।
এবিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিন বলেন, দেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রামণ সম্পুর্ন নিরশন না হওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে তার এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও তিনি করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে সাংবাদিকের পাশাপাশি সকল স্তরের লোকের সহযোগিতা কামনা করেন।