অবশেষে গাজীপুরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তির ৪দিন পর সোমবার এক যুবকের স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার কোভিক-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন হতদরিদ্র মেহেদী হাসান নামের ওই যুবক।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি এ হাসপাতালে ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সর্দি-ঠান্ডা, হাঁচি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথ্যা নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হন মেহেদী। তিনি এ ইউনিটের একমাত্র রোগী। তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও ঔষধ সরবরাহ করা হলেও স্যাম্পল সংগ্রহের এখতিয়ার এ হাসপাতালের কারো নেই। একমাত্র আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ এ স্যাম্পল সংগ্রহ করবে। তাই মেহেদী হাসান এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার স্যাম্পল নেয়ার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর-এ দুই দফা চিঠি লেখা হয়। কিন্তু চারদিন পেরিয়ে গেলেও তার স্যাম্পল নেয়া হয়নি। অবশেষে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার দুপুরে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ হলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে দু’টি প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৪৭জনের মধ্যে ইতালী ফেরত ৩৬জনকে সোমবার সকালে মেঘডুবি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক হাজার ৮৯৫জনের মধ্য থেকে ৮৯০জনকে সোমবার পর্যন্ত রিলিজ করে দেয়া হয়েছে। অপর একজন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।