১২০কোটি মানুষের দেশ ভারতে যদি মাত্র ১০০০ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। আমার বাংলাদেশ করোনায় মাত্র ৪৮ জন আক্রান্ত মেনে নিতে কেন পারেন না? ওরা কি আমাদের চেয়ে পরিষ্কার পরিছন্ন? বেশি স্বাস্হ সচেতন?

মানুষ কে ভয় ভিতি দেখিয়ে কি লাভ? এখন এমন যুগ কেউ রোগ হলে বসে থাকেনা। দেশে পরিস্হিতি ও এমন না যে মানুষ দশ বিশ দিন কাজ না করলে ছুটি থাকলে মরে যাবে। ঈদে হরতালে ও এদেশে কাজ হয়না। তাই বলে মানুষ কিন্তু না খেয়ে মরে নাই।

এখনও মানুষের মধ‍্যে সরকারি দলকে বিরোধী দল একে অপরকে ছোট করার জন‍্য টেষ্ট কিট নাই, থাকলেও অকার্যকর, পিপিই নাই ইত‍্যাদি বলে যাচ্ছেন। এঐ যে একটা মহামারি যাচ্ছে সবাই বিপদের মুখে তবুও আপনারা একটু থামেন না। সরকারের কিছু মন্ত্রি আছে প্রধান মন্ত্রী যা বলে তার উল্টো টা করে। কাজ করেনা শুধু কথার ফুলঝুড়ি।

বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে করোনা মহামারি আকার ধারন করবে। আরে বাংলাদেশে ভৌগলিক ভাবে ও নাও হতে পারে। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম প্রধানদেশ। বিভিন্নভাবে ঠান্ডা দেশের থেকে রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে থাকতে পারে। বলেন দুবাই সৌদি ইরাক ইরানে ও তো গরম ওখানে কেন হয়। ওদের ওখানে কিন্ত রাতে ঠাণ্ডা পড়ে। ইউরোপ আমেরিকা কিংবা আরব রা আমাদের মতো প্রতিদিন কি গোসল করে? প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে। প্রতিবার বাথরুমের পরে সাবান পানি কি ব‍্যবহার করে? কিছু ঘাটতি অবশ‍্যই আছে।

যদি আমেরিকা ইউরোপ করোনা ঠেকাইতে পারেনাই বলে আমরাও পারবনা এটাও ঠিকনা। কারন নেপাল ভুটান কিংবা মায়ানমার আমাদের সমকক্ষ ও না তাদের ওখানে ও তো বিস্তার ঘটে নাই।

এতদিন ভয় দেখাইছে যে কোন সময় মহামারি হবে দেশে। এখন যখন দেশ গত সাত আট দিন ধরে কোয়ারেন্টাইনে তখন বলে সামনের সাত দিন নাকি আরো ভয়ংকর। যাই হোক আমরা সাবধানেই থাকব। আল্লাহ র রহমতে বাংলার মানুষ ভাল থাকবে। অযথা বিভ্রান্ত করে কোন লাভ নাই।

লেখকঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম পলাশ